নির্দেশনা উপেক্ষা করেই পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের সভা, হাতাহাতি-ধাক্কাধাক্কি

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা এবং সভাপতির উপস্থিতি ছাড়াই পাবনার বাস মালিকদের সংগঠন পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাল্টা সাধারণ সভা করেছে সভাপতি পক্ষের লোকজনও। সাধারণ সভা ঘিরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী পাবনার আবুল বরকাত বাস টার্মিনালের মোটর মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এই বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা ১১টার দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা শুরু করেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলামের লোকজন। এতে বাঁধা দেয় গ্রুপের সভাপতি এম এ কাফী সরকার। তারা সভায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় মমিনুলের লোকজন বাধা দেন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। সভায় ঢুকতে না পেরে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় কাফী সরকারের লোকজন। আধা ঘন্টা পর পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রথম পক্ষের সাধারণ সভার পর সভাপতির কাফি সরকারের সভাপতিত্বে আরেকটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এবিষয়ে গ্রুপের সভাপতি এমএ কাফি সরকার বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা অবৈধভাবে মোটর মালিক গ্রুপের একটি পক্ষ সাধারণ সভা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একমাত্র সভাপতির সভাপতিত্বে সাধারণ সভা হতে হবে। কিন্তু তারা বহিরাগতদের নিয়ে সাধারণ সভা করছে। এই সভা সমিতির সদস্যরা মানেন না। আমরা পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা করেছি, আমাদের সাধারণ সভাই বৈধ।

এব্যাপারে মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাহিরে যারা ঝামেলা করেছেন তারা মোটর মালিক গ্রুপের কেউ না। সভাপতি আমাদের সংগঠনের সদস্য না, নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমিই সকল সভা আহ্বান করতে পারি। আমাদের সাধারণ সভা বৈধ। অন্য কারো সাধারণ সভার বৈধতা নেই।’

এবিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) মাসুদ আলম বলেন, ‘পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দুই পক্ষের মধ্যে সাধারণ সভা ঘিরে ঝামেলা হয়েছিল।  আমরা (পুলিশ) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি, পরে সাধারণ সভা শেষ হলে অন্য পক্ষ চলে যায়, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’