এম এস ফুডের স্বত্বাধিকারী মাহবুব আলমের উপর হামলায় গ্রেফতার ০২


পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনায় এম এস ফুডের স্বত্বাধিকারী ও বসুন্ধরা শুভ সংঘের পাবনা জেলা শাখা উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম ফারুকের উপর হামলা, ব্যাবহৃত জীপগাড়ি ভাংচুরের ও নগদ ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়৷

 গ্রেফতারকৃতরা হলেন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার  সুন্দরকান্দী গ্রামের মাওয়ালা আবু তাহের মিয়ার ছেলে শামসুল আলম ফয়সাল ও উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামের মো: তায়জাল হোসেনের ছেলে মো: মকবুল হোসেন৷ গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় সাঁথিয়া থানা পুলিশ৷ 

এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে  পাবনা শহর থেকে সাঁথিয়া উপজেলার সুন্দরকান্দী নিজ গ্রামের বাড়িতে জমি কেনার জন্য ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাবসায়ী মাহবুবুল আলম ফারুক৷ এসময় নিজ বাড়ির সামনে পৌছালে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিত  হামলা চালায় তার সৎ ভাই। 

এসময় দেশীয় অস্ত্রের মুখে ব্যাবসায়ী মাহবুবুল আলম ফারুককে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকেন৷ তাকে বাঁচাতে গেলে গাড়ির চালকসহ মাহবুব আলমের আরেক ভাই আশরাফুল আলম ফিরোজ ও এম এস ফুডের দুইজন কর্মকর্তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারধর করেন৷ এবং সাথে থাকা জীপগাড়িও ভেঙে তছনছ করা হয়৷ 

এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় গাড়ির চালক ফরহাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ঐদিনই সাঁথিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০ থেকে ১৫ জনের নাম অজ্ঞাত করে একটি এজাহার দায়ের করেন। ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় মামলা গ্রহণ করেন পুলিশ এবং দুজনকে গ্রেফতার করেন। যার মামলা নাম্বার ২৭. তারিখ ২৩/০৩/২৪। 

এ ঘটনায় মাহবুব আলম ফারুক বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং ঘটনাটি অন্য পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চক্র পায়তারা করছে। আমি জমি কেনার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলাম এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট সহ সকল প্রকার তথ্য প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমাকে সহ আমার ভাই, গাড়ি চালক ও ফ্যাক্টরির দুইজন কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমার পাজেরো জীপ গাড়িও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভেঙে তছনছ করে ফেলে।

মাহবুব আলম আরো বলেন, আমাদের উপর হামলা করার পর আমি ও আমার ভাইসহ চার জন সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ি। তবে গাড়ির চালক গাড়ি বন্ধ করতেই তার মাথায় আঘাত করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে। অচেতন অবস্থায় সন্ত্রাসীতা তাদের একটি ঘরে তালা মেরে জিম্মি করে রাখে। পরে সাঁথিয়া থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে৷ 

ব্যবসায়ী মাহবুব আলম আরো বলেন, আমার এত বড়  ক্ষতি করলেন তারা, এরপরে আবারো আমার উপরেই বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় প্রাণ নিয়ে শঙ্কায় আছি আমি, আমার পরিবার ও আমার কোম্পানীর কর্মকর্তাবৃন্দ । হামলাও করলেন তারা, ছিনতাইও করলেন তারা , আবার আমাকে ফাঁসাতেই বিভিন্ন রকমের পায়তারাও করছেন তারাই। এই ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রশাসনের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেখার অনুরোধ জানান তিনি। 

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এজাহার ভুক্ত দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এছাড়া যে সকল আসামীরা বাহিরে আছেন তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। দ্রুত তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।