পাবনার আতাইকুলা আমেনা খাতুন ডিগ্রি কলেজে সাবেক ডেপুটি স্পিকারের নিয়োগকৃত আব্দুল্লাহেল আল মাহমুদকে ফের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে বসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে! পদত্যাগপত্রও ছিঁড়ে ফেলেছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আতাইকুলা মাধপুর আমেনা খাতুন (এ.কে) ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিয়ে দুই বছর আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে না থাকার নিয়ম থাকলেও ক্ষমতার প্রভাবে এতো দিন ধরে তিনি পদটি দখলে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে রহস্যজনকভাবে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি।
তারা আরও জানান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেন। এর একদিনের মাথায় আজকে শ্রমিক দল নেতা আব্দুল বারেক, সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন রাসেল, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাজিব, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল সরদারের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ওই পদে বসিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। আগের দিন পদত্যাগের স্বাক্ষরিত কপি ছিঁড়ে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে কলেজ ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডেপুটি স্পিকারের নিয়োগকৃত আওয়ামী লীগপন্থী এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পক্ষ নেওয়ায় বিএনপির অভ্যন্তরেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এব্যাপারে মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল আল মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন রাসেল বলেন, গতকাল একদল দুর্বৃত্ত জোর করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানে যাতে কোনো দুর্বৃত্ত ও উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দিতে না পারে এইজন্য আমরা গিয়েছিলাম।
এবিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকে প্রথম শুনলাম। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আসলে দলগত যে সিদ্ধান্ত (ব্যবস্থা) সেটা আমরা নেব।